Wednesday, 29 October 2014

নদীর রহস্য

কর্ণফুলিতে সন্ধ্যার আগে নদীর
পাড়ে এসে গোসল করা নিষেধ।
এই
কথা যারা মানেনি তাদেরকেই
নদী টেনে নিয়ে গেছে।
এবার বিস্তারিত আমার
খালাতো বোনের শিক্ষক
ওকে যখন বলে ঘটনাটি ঠিক এরকম,
"আমি তখন ম্যাট্রিক দেবো,
বাবা শিকলবাহা তাপবিদ্যুৎ এর
প্রকৌশলী, নদীর পাড়ে আমাদের
বিশাল কোয়ার্টার। আমাদের
সার্বক্ষণিক একজন
বুয়া থাকতো যিনি তাঁর
ছেলে সবুজসহ আমাদের
ঘরে থাকতেন। একদিন
বিকালে সবুজ তার সহপাঠি ও
সহপাঠি'র ছোটভাই সহ
নদীতে নামে। আধাঘন্টা যাবৎ
পানিতে দাপাদাপি করার পর
হঠাৎ সবুজ টের পায়
তাকে কিসে যেন
পানিতে টানছে। সবুজের
সহপাঠি শত চেষ্টা করেও
সবুজকে ধরে রাখতে পারলো।
নিজের
ছোটভাইকে পাড়ে পাঠিয়ে দিয়ে এবার
ছেলেটি সবুজকে খুঁজতে পানিতে ডুব
দেয়, সেও ফেরে না। অনেক
কান্নাকাটির রোল পড়ে যায়
আমাদের ঘরে। দুদিন পর আমাদের
এলাকার মসজিদের ইমাম
স্বপ্নে দেখেন আগামী দুপুর ১২টায়
ছেলে দুটির লাশ পানির উপর
উঠবে। পরদিন জানাজানি হওয়ার
সাথে সাথে ১২টার আগেই প্রচুর
মানুষ জড়ো হয়ে যায়।
এবং সত্যি সত্যি লাশ
ভেসে ওঠে সবুজের, কিন্তু লাশ
ভেসে ওঠার
নিয়মটা ছিলো অদ্ভূত। লাশটা ভূশ
করে প্রায় ১০ফুট
উঁচুতে ভেসে প্রায় ৩,৪সেকেন্ড
স্থায়ী ছিলো আকাশে এবং মানুষজনের
মাঝে 'হো' করে একটা গুঞ্জন হয়।
আজো জানা যায় নি এ জায়গার
রহস্য কি...

No comments:

Post a Comment