অনেক দিন আগের কথা। তখন
চন্দ্রগনা ছিল পাহাড়ি গ্রাম।
আমরা চার বন্ধু গেলাম চন্দ্রগনা ঘুরতে।
খুব সুন্দর গ্রাম। কিন্তু সেখানকার মানুষ
একটু ভীতু টাইপের। ভীতু বলতে ভূতকে ভয়
পায়। আমারা শিক্ষিত ছেলে, ভূত তূত
এগুলা বিশ্বাস করতাম না। একদিন
সন্ধ্যা বেলায় পুকুর পারে বসে চার বন্ধু
গল্প করছিলাম, হঠাত এক হুজুর আমাদের
কাছে এসে বললো তোমরা এই এলাকায়
নতুন আসছ?? আমরা বললাম জি হুজুর।
উনি আমাদের বলল বেশি রাতে যেন
বাইরে না থাকি এই এলাকায় জিনের
উৎপাত আছে। আমরা বললাম ঠিক আছে।
হুজুরের কথা শুনে সুমন ভয় পেয়ে গেল,
সে আর এক মুহূর্তের জন্যও
বাহিরে থাকবে না। যাই হোক
তাকে বুঝিয়ে বললাম রাতের খাবার
হোটেলে এ খেয়ে বাসায় চলে যাব।
খেয়ে বাসায় গেলাম। বুঝতেই পারছেন
শহরের ছেলেরা একটু রাত করেই ঘুমায়।
চার বন্ধু মিলে কার্ড খেলতে বসলাম।
হঠাৎ একটি মেয়ের
কান্না শুনতে পেলাম, "এক
ঘটি পানি দিবে? খুব তৃষ্ণা পেয়েছে।
এত রাতে মেয়ের কন্ঠ শুনে আমরা একটু
কেঁপে উঠলাম। মেয়েটি আবার বলে উঠল
"এক ঘটি জল দিবে? খুব তৃষ্ণা পেয়েছে"
জানালা খুলে দেখি বট গাছের
ওখানে লাল
শাড়ি পড়া একটি মেয়ে এগুলা বলছে।
চোখ গুলো লাল। একবার
আমি ভাবছিলাম যাই
পানি দিয়ে আসি কিন্তুু হুজুরের
কথা মনে পড়ে গেল। তাই
তারাতারি জানালা বন্ধ করে চার বন্ধু
আল্লাহের নাম ডাকতে শুরু করলাম।
কিছুক্ষণ পর মেয়েটির
কান্না থেমে গেল। পরের দিন
সকালে গ্রামের লোকদের এই
ঘটটানা বললাম। তারা বলল অনেক বছর
আগে এই মেয়েটি প্রেম করে এক মুসলমান
ছেলেকে বিয়ে করেছিল দেখে তখন
কার জমিদার তার মেয়েকে বট গাছের
সাথে বেধে পিটিয়ে ছিল, আর
সারা রাত মেয়েটি পানির তৃষ্ণায়
কান্না করতে করতে পরের দিন
ভোরে মারা যায়, তারপর
থেকে প্রতি রাতে মেয়েটির
আত্মা আসতো, কিন্তু যদি কেও
তাকে পানি দিতে যেত তাকেই
সে মেরে ফেলতো।
Sunday, 12 October 2014
ভুতের গল্প
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment